সুন্দরবনে তিন মাস পাশ পারমিট বন্ধ। নিরূপায় সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিরা। এমনই পরিস্থিতিতে সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে বন বিভাগের কাছে আটক হয়েছে এক জেলে।
আটককৃত জেলে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা গ্রামের সিরাজুল ঢালীর ছেলে তাইজুল ইসলাম (৩২)।
২১ জুন ভোররাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই জেলেকে আটক করেন বনবিভাগের বেলাল হোসেন ও তার সঙ্গীরা। তাকে আটক করে সকাল ৮টায় বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট স্টেশনে নিয়ে যায়। ৮-১০ কেজি চিংড়ি মাছ ও একটি বিষের বোতলসহ আটককৃত তাইজুল ইসলামকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটককৃত জেলে তাইজুল ইসলাম জানান, পেটের দায়ে মাছ মারতে গেলে আমাকে আটক করে। কিন্তু আমরা খালে বিষ দেইনি। বিষের বোতল কলাগাছিয়ার ওসি সাহেব আমার কাছে দিয়েছে। আমার কাছে বা নৌকায় কোনো বিষের বোতল ছিলো না। এই বিষয়ে কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম ক্যাম্প ইনচার্জ মনির হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।
মিডিয়াকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিষের বোতলসহ আটককৃত তাইজুল ইসলামকে গাড়ি থেকে নামিয়ে আবার বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বনবিভাগের স্পিডবোটম্যান পান্না তাইজুলকে ভিডিও ধারণ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সেখানেও তাইজুল বলেন, বিষের বোতল আমাদের কাছে ছিলো না। পরবর্তীতে কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম ক্যাম্প ইনচার্জ মনির হোসেনের নির্দেশে বিষের বোতল দিয়ে তাইজুল ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করেন। সাতক্ষীরা রেঞ্জ কর্মকর্তা এম এ হাসান বলেন, বিষসহ তাকে আটক করে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। তবে তার কাছে বিষ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে, বিষয়টা সম্পূর্ণ মিথ্যা।