যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি মেট্রিক টন (১০০০ লিটার) পরিশোধিত তেলের মূল্য ৬৫০ ডলার অর্থাৎ (৬৫০*৮৬= ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা, লিটার প্রতি মূল্য- ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা।
এর সঙ্গে শিপিং খরচ প্রতি মেট্রিক টন গড়ে ৬৫ ডলার অর্থাৎ (৬৫*৮৬) = ৫৫৯০ টাকা, লিটার প্রতি ৫ টাকা ৬৯ পয়সা।
মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারে এবং লাইটার থেকে নির্ধারিত জেটিতে কন্টেইনারে লোড-আনলোড খরচ লিটার প্রতি গড়ে ৫ টাকা।
বোতলজাতকরণ/প্যাকেজিং খরচ প্রতি লিটারে সর্বাধিক ১০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে পরিবহন খরচ লিটার প্রতি সর্বোচ্চ ৫ টাকা।
পরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক ১৪ শতাংশ হিসেবে প্রতি মেট্রিক টনের শুল্ক ৭৮২৬ টাকা, যা লিটার প্রতি দাঁড়ায় ৭ টাকা ৮০ পয়সা।
এর সঙ্গে যদি আমদানিকারক (১০ টাকা) ডিপো (৫ টাকা) ডিলার (৫ টাকা) পাইকার (৫ টাকা) খুচরা (১০ টাকা) সবার মুনাফা ধরে যদি লিটার প্রতি আরো ৩৫ টাকা যোগ করি, তাহলে ভোক্তার নিকট পৌঁছানো পর্যন্ত লিটার প্রতি তেলের মূল্য দাঁড়ায়- ৫৫.৯০+৫.৫৯+৫+১০+৫+৭.৮০+৩৫= ১২৪.২৯ টাকা।
রপ্তানিকারক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো অবধি সব ব্যয়ভার বহন ও সম্ভাব্য মুনাফা যোগ করেও লিটার প্রতি ১২৫ টাকায় সয়াবিন তেল পৌঁছানো সম্ভব। এই নিয়ন্ত্রণে যেমন সিস্টেম ব্যর্থ, তেমনি করে সিন্ডিকেট দায়ী।
এই সিন্ডিকেট ও সিস্টেম পরিবর্তনে প্রয়োজন শুধু ইতিবাচক মানসিকতা, স্বদিচ্ছা, সততা ও দেশপ্রেম।