সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) হবিগঞ্জ জেলা কমিটির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও নামধারী সাংবাদিক মীর দুলাল (৪২ ) নামের এক ব্যক্তিকে ৩৪ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশ আটক করেছে ।
আটককৃত মীর দুলাল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নগর এলাকার মৃত ধলাই মিয়ার পুত্র। সে বর্তমানে হবিগঞ্জ পৌরশহরে খাদ্যগোদাম আবাসিক এলাকার বাসিন্দা । সোমবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সময় চুনারুঘাট ও শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চুনারুঘাটের জারুলিয়া এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের হবিগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মিছবাহুল বারী লিটন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না, আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি এখন সভাপতির সাথে আলাপ করে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোঃ আলী আশরাফ।
ঘটনার সময় মোটরসাইকেল দিয়ে আসামপাড়া থেকে চুনারুঘাটের দিকে বেপরোয়া গতিতে মাদক নিয়ে যাচ্ছিল দুলাল। এ সময় পুলিশ ওই মোটর সাইকেলের গতিরোধ করার চেষ্টা করলে মোটরসাইকেলে থাকা দুলাল দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সন্দেহ আরো বাড়লে ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করে ।এ সময় নিজেকে বাঁচাতে দুলাল বিভিন্ন পরিচয় দিলে পুলিশ তার প্রতি আরও সন্দেহ বেড়ে যায় । পরিশেষে সে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে যাইতে চাইলে পুলিশ তাকে আটক করে এবং তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ৩৪ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চুনারুঘাট থানায় মামলা হয়েছে অনুসন্ধানে জানা যায়, দুলাল এর আগে নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয় এবং সোর্সের কথা বলে সীমান্তে আনাগোনা করতো, ওই এলাকার লোকজনের কাছে দুলাল সোর্স হিসেবেই পরিচিত । ইদানীং দুলাল কৌশল পালটিয়ে সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে জেলার বিভিন্ন সীমান্তের অপরাধীদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। এমনকি সাইনবোর্ডের আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হওয়ার পরও সে কৌশলে সাংবাদিকদের সাইনবোর্ড লাগিয়ে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করছিল।
দুলালের দৃশ্যমান কোন ব্যবসা নেই কিন্তু সে বিলাস বহুল এপাছি ব্রান্ডের মোটরসাইকেলে সাংবাদিক / প্রেস হাকিয়ে নিয়মিত এদিক ওদিক ঘুরাপেরা করে। তার এত টাকার আইয়ের উৎস কি এ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানায়, সে নিজেকে অনেক বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার ব্যবহারিত গাড়িতে প্রেস লাগিয়ে প্রতিনিয়ত মাদক পাচার করে।
এদিকে র্যাব-পুলিশ-বিজিবি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনি মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকলেও কথিত সাংবাদিকের সাইনবোর্ড লাগিয়ে মীর দুলাল প্রশসানের সাথে লোকোচুরি খেলে তার অবৈধ কালো বাজারির ব্যবসা গুলো চালিয়ে যাচ্ছে।