খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার শহিদ হাদিস পার্কে এসডিজি অর্জনের মাধ্যমে খুলনা নগরীতে জলবায়ু সহনশীলতা শক্তিশালীকরণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শীর্ষ ১০ টি দেশের মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশ। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের তিনটি জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এর প্রভাব মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন শুধু প্রাকৃতিক কারণেই নয়, মানবসৃষ্ট কারণেও হয়। তাই বনভূমি ধ্বংস বন্ধ করতে হবে এবং বৃক্ষরোপণ ও বনায়ন বাড়াতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, খুলনাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ড্রেনে প্লাস্টিকসহ ময়লা-আবর্জনা না ফেলা নাগরিকের দায়িত্ব। খুলনার রূপসা নদী ড্রেজিং করতে হবে। নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে ইতোমধ্যে দখল হয়ে যাওয়া ২২টি খাল উদ্ধার করা হয়েছে। ময়ুর নদের আট কিলোমিটার এলাকা খননের জন্য সরকার আট’শ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। এর কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী ও কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্ডিপেন্ডেট বিশ^বিদ্যালয়ের প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোঃ বায়েজিদ খান। অনুষ্ঠানে ব্রাইটাস সোসাইটির প্রতিনিধি ফারিহা এস আউমি এবং জিআইজেড এর প্রতিনিধি আলেকজান্ডার ডোরজেনবাখ বক্তৃতা করেন। জার্মান-বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন এর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশন এবং জিআইজেড বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শিববাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।