সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদর দপ্তরে এ সকল জেলেদের মালামালসহ তাদের মালিকেরা বুঝে নেন। গত ১১ ডিসেম্বর সাগরের গহিন থেকে ট্রলারসহ হারিয়ে যান ফিশিং ট্ররার এফ বি আল্লার দানসহ ২০ জেলে।
ভোলা থেকে গত ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে এফ বি আল্লার দান নামের একটি ফিশিং ট্রলার বোঝাই ২০ জন জেলে বঙ্গোপসাগরের গহীনে মাছ ধরতে যায়। ১১ ডিসেম্বর রাতে হঠাৎ ফিশিং ট্রলারটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গভীর সাগরে চরম সংকটে পড়ে ১৫ দিন যাবত ভাসতে থাকে এ সকল জেলেরা। এক পর্যায়ে তাদের খাবারসহ প্রয়োজনীয় রসদ ফুড়িয়ে গেলে বাঁচার আশা ছেড়ে দেন তারা।
পরে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় চলে যায় বাংলাদেশী জেলেসহ ফিশিং ট্রলারটি। গত ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় কোস্টগার্ড ওই ফিশিং ট্রলারসহ ২০ জেলেদের সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশী কোস্টার্ডকে খবর দেয় ভারতীয় কোস্টাগর্ড। সেখান থেকে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন (মোংলা সদর দপ্তর) (৯ জানুয়ারি রবিবার) দুই দেশের সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিয়ে আসে ট্রলারসহ এসকল জেলেদের।
কোস্টগার্ডের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম মোসায়েদ হোসেন সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, তাদের (কোস্টগার্ড) জাহাজ ‘স্বাধীন বাংলা’ বাংলদেশের সমুদ্র সীমার নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘সরোজিনি নাইডু’ থেকে বাংলাদেশের ওই ট্রলারসহ ২০ জেলেকে গ্রহণ করেন।
উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছেন-মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ তাছিন, মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ হানিফ, মোঃ সোহেল, মোঃ বেল্লাল, মোঃ আলাউদ্দিন আহমেদ, আবু বকর, মোঃ মিরাজ, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দিন, মোঃ সবুজ, মোঃ হারুন, মোঃ জামাল, মোঃ বসর, মোঃ মোস্তাফিজ, মোঃ সোলাইমান, মোঃ আবু জাহের, মোঃ রিপন ও মোঃ দেলোয়ার। তাদের সবার বাড়ী ভোলার চরফ্যাশান উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে মহাজন আবুল কাশেমের কাছে এ সকল জেলে ও ফিশিং ট্রলার হস্তান্তর করেন মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের সদস্যরা।