1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| বর্ষাকাল| শনিবার| সকাল ৮:৩৬|
শিরোনামঃ
দক্ষিণ কাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন এমপি আশু প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ সাতক্ষীরায় কৃষক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা পাইকগাছায় অন্যত্র বিয়ে ঠিক করায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিক-প্রেমিকার একই সময়ে আত্মহত্যা তালায় অর্থনৈতিক শুমারিতে নিয়োজিত লিস্টারগণের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন তালায় ইন্টারফেইস মিটিং অনুষ্ঠিত সাতক্ষীরায় অনলাইন জুয়াচক্রের ১০সদস্য গ্রেপ্তার মেডিকেল শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে অনলাইনে যৌন ব্যবসা, আয় শতকোটি টাকা তালায় রাজাকার ওহাব আলীর দপ্তরিক শাস্তির দাবিতে ইউএনও’র কাছে অভিযোগ তালায় পুকুর খননের সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় ওয়ান শাটারগান উদ্ধার।

২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩,
  • 125 Time View

তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নারী নুরজাহান খাতুন। স্বামী আবু বক্কর গাজী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের বসতঘরটি কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নেই। দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন, ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।
নুরজাহান খাতুন (৫৬) বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতভিটা ভেসে গেছে। এতদিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নুরজাহান। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগ তার শরীর বাসা বেধেছে। কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নুরজাহান বলেন, ‘নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই আমার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মতো একটি ঘরও নেই। পাশর্^বর্তী ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। বর্তমানে শরীরে কোন বল পাই নে। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটেনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয়নি। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।
খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড
তালা প্রতিনিধি
তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নারী নুরজাহান খাতুন। স্বামী আবু বক্কর গাজী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের বসতঘরটি কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নেই। দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন, ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।
নুরজাহান খাতুন (৫৬) বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতভিটা ভেসে গেছে। এতদিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নুরজাহান। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগ তার শরীর বাসা বেধেছে। কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নুরজাহান বলেন, ‘নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই আমার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মতো একটি ঘরও নেই। পাশর্^বর্তী ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। বর্তমানে শরীরে কোন বল পাই নে। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটেনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয়নি। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।
খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page