বাহুবলে প্রতিপক্ষের আঘাতে খুন হওয়া দুলালের পরিবারে নেমে এসেছে চরম দুঃখ-দুর্দশা। ৩ মাসের শিশু সহ ৮ সন্তানের ভরণপোষণ ও মামলার খরচ যোগানো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী আমিনা খাতুন। সন্তানেরা বাবা,বাবা বলে চিৎকার করছেন।
সরজমিন জানা যায়, দুলাল মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। নিজস্ব জায়গা-জমি নেই বললেই চলে। স্ত্রী সহ ৬ ছেলে ও ২ মেয়েকে নিয়ে সংকরপুর বোন জামাই নুর আলীর বাড়িতে থাকতেন।
লেবু মিয়া সহ অনেকেই জানান,গ্রামের ভিতরেই একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার উপর বাঁশ নুয়ে পরায় এবং গাড়ী চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়াতে দুলালের ভাই জুলহাস নামে এক সিএনজি চালক রাস্তার উপর থাকা বাঁশ কেটে দেয়। এর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে দুলালের ভাই ভাতিজাদের সিএনজি নিয়ে চলাচল না করতে প্রতিপক্ষের রশিদ মিয়া সহ তার লোকজন আপত্তি জানায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার শফিক মিয়া সহ অনেকেই বিষয়টি আপোষ মীমাংসার চেষ্টা চালান। এরইমাঝে গত ১৪ জুলাই বিকেলে গোসাই বাজার যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন দুলাল মিয়াকে মারধর শুরু করলে দুপক্ষের লোকজনই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হন। এমতাবস্থায়, আহত দুলাল মিয়া মারা যান। সরজমিনে দেখা যায়,প্রতিপক্ষের প্রায় লোকজনের ঘরে তালা এবং দরজা-জানালা বন্ধ। জানতে চাইলে কথেক মহিলা জানান, কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। তবেঁ ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।