কিন্তু তালার খেরশা ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। নিজেকে ভূমি ও গৃহহীন দাবি করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিলেও তা দিয়ে এখন ব্যবসা করছেন উপকারভোগীরা। এমন অভিযোগ উঠেছে খেরশা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়া আমিরুল গোলদার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার (২৬ আগস্ট ) সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতা মেলে।
আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আমিরুল হক নিজের নামে বরাদ্দ ঘরে কখনো বসবাস করেননি। গত ১ বছর ধরে মাসে ৫০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে হামিদা নামে এক বিধবা নারীর কাছে ঘরটির ভাড়া নিয়ে আসছে । অন্যদিকে অনেকে আত্মিক সচ্ছলতা থাকায় বর্তমানে ১৫ টি ঘর নামে মাএ রেখে তালা ঝুলিয়ে রাখা ।
খেরশা গ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া আমিরুল গোলদার সে এই গ্রামের কাছিম উদ্দিন গোলদারের ছেলে। তার কাছে ঘর ভাড়া দেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে সত্যতা স্বীকার করে বলেন ভাড়া দিয়েছি পাঁচশত টাকা আজকাল এতো অল্প টাকায় কি হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা বলেন- আমিরুলের জায়গা সহ পাঁকা দালান ঘর রয়েছে এজন্য সে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরে থাকে না। আর আমারা মনে করি সঠিক যাচাই-বাছাই না করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আশ্রয়ণে ঘর না দেওয়ায় আশ্রয়ণের সরকারি ঘর ভাড়া দেওয়া হচ্ছে।এছাড়া পি আইও ঘর ভাড়া দেওয়ার বিষয়টা জানে আর হামিদাকে ঘরে না থাকার কথা বলেছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ওবায়দুল হক বলেন- আশ্রয়ণের ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছে শুনেছি। যে ঘরে কেউই থাকে না আর ভাড়া দেওয়া ঘর সেগুলো জরিপ করা হচ্ছে ঘর গুলো বাতিল করা হবে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম ( লাল্টু ) বলেন , এ বিষয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেবো।
তালা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আরাফাত হোসেন জানান, নিজের নামের বরাদ্দ ঘর ভাড়া দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।