1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
মায়ের শখ পূরণ করতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দেশসেরা মীম - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| শনিবার| বিকাল ৪:৩০|
শিরোনামঃ
তালায় প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের এলএসডিসহ এক মাদক ব্যবসায়ী  আটক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাহা কিছু করার প্রয়োজন তাই করা হবে: সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার তালায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আলামিনের হারানো ভ্যান খুঁজে দিলেন এ এস আই আনিছুর রহমান শ্যামনগরে কথিত সীমানা পিলার বিক্রির সময় আটক-৫ তালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত মানব পাচার প্রতিরোধে স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ বোদায় হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ পালন ২০২৪ পশ্চিম বাংলা সরকারের উদ্দোগে পর্যটকদের জন্য তৈরি হবে জামে মসজিদ। শুভ জন্মদিন-আরিয়ান

মায়ের শখ পূরণ করতে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে দেশসেরা মীম

ডেস্ক রিপোর্ট :
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ৭, ২০২২,
  • 448 Time View

খুলনার ডুমুরিয়া বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও খুলনা সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন মীম। দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন।

মীমের বাবা খুলনার ডুমুরিয়া কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোসলেম উদ্দিন সরদার। মা কেশবপুর উপজেলার পাঁজিয়া উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ফার্মাসিস্ট খাদিজা খাতুন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জাতীয় মেধা তালিকায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মেয়ে সুমাইয়া মোসলেম মীম। লিখিত পরীক্ষায় সুমাইয়া মোসলেম মীম ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। তার মোট নম্বর ২৯২ দশমিক ৫।

গ্রামের মেয়ে দেশের সেরা হওয়ায় অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছে পুরো পরিবার। ফলাফল ঘোষণার পর বাবা-মাসহ মীম তার কোচিং সেন্টার ডিএমসি স্কলার মেডিকেলে হাজির হন। সেখানে মীমের সহপাঠী ও কোচিংয়ের শিক্ষকসহ অন্যরা তাদের অভিনন্দন জানান। ফল প্রকাশের পর মীম বলেন, ‘প্রথমে ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তার মধ্যে করোনা আসলো। পড়াশোনায় একটা ব্যাঘাতও ঘটেছিল। বেশ একটা সময় গ্যাপ। তারপর আবার খুলনায় ফিরে পড়াশোনা শুরু করি। তখনও ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বো। কিন্তু এইচএসসি পরীক্ষার এক থেকে দেড় মাস আগে আম্মুর ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত বদলাই, না মেডিক্যালেই পড়বো। তারপর এইচএসসি পরীক্ষা দিলাম। এরপর যে তিন মাস ছিল, পুরো সময় মেডিক্যালের প্রস্তুতি নিলাম। সেখান থেকে আজকে এই অবস্থানে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুই বোন। আব্বু-আম্মু আছেন। আমি কৃতজ্ঞ, এরকম একটা পরিবার আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। বিশেষ করে আমার আপুর কথা বলতেই হয়। এরকম একটা বোন আমি পাইছি। আপু আমাকে সবসময় সাপোর্ট দিয়েছে।’ আগামী দিনের পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মীম বলেন, ‘বুঝে পড়াশোনা করতে হবে। সবাই ভাবে মুখস্থ করতে হবে। কিন্তু না, যা পড়ছো সেই বিষয়টা পরিষ্কার বুঝতে হবে। মুখস্ত করলে পরদিন ভুলে যেতে পারো। কিন্তু বুঝে পড়লে সেটা কাটিয়ে ওঠা যায়। কোচিংয়ের অনেক পরীক্ষায় ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারতাম না। তারপরও বুঝে পড়ার কারণে ফলাফল ভালো হতো।’

ভবিষ্যত পরিকল্পনার বিষয়ে মীম বলেন, ‘সবার আগে ভালো মানুষ হতে চাই। এরপর একজন ভালো চিকিৎসক হতে চাই। আমাদের সমাজের মানুষের একটা খারাপ ধারণা রয়েছে, চিকিৎসক মানেই কসাই। এই ধারণা থেকে মানুষকে ফিরিয়ে আনতে চাই।’ মীমের মা বলেন, ‘আমার জীবনে একটাই চাওয়া ছিলো আমার মেয়ে বড় হয়ে চিকিৎসক হবে। সেই চাওয়া এখন পূরণ হতে চলেছে। ভাবতে পারিনি এতো ভালো ফলাফল করবে।’

বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার বলেন, ‘আমার মেয়ে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ায় আমরা গর্বিত। সে ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব মনোযোগী ছিল। পঞ্চম শ্রেণিতে উপজেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে। এসএসসি পরীক্ষায় যশোর বোর্ডে তৃতীয় অবস্থানে ছিল। এইচএসসি পরীক্ষাতেও গোল্ডেন পায়। আমি মহান আল্লাহ পাকের প্রতি কৃতজ্ঞ। সাফল্যের জন্য তার সকল শিক্ষককে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘মীমের ইচ্ছা ছিল ইঞ্জিনিয়ার হবে। তবে তার মায়ের প্রচণ্ড ইচ্ছায় মেডিক্যাল কোচিংয়ে ভর্তি হয়। মায়ের অনুপ্রেরণায় তার এই সাফল্য। আমার মেয়ে যেন ভালো ডাক্তার ও মানুষ হয়ে গরিবের সেবা করতে পারে সেই দোয়া করি। সে যেন গ্রামের অসহায় মানুষের সেবা করে তার কাছে সেই প্রত্যাশা করি।’

মা খাদিজা খাতুন বলেন, ‘আমার মেয়ের এমন সাফল্যের জন্য আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তার জন্য সবাই দোয়া করবেন।’

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page