পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় চলছে অবাধে ফসলি জমির উপরিভাগ বিক্রির মহোৎসব। আজ ২৩ ডিসেম্বর(শুক্রবার) বলরামপুর ইউনিয়নের নয়নকার এলাকায় আবাদি জমির উপরিভাগ কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করতে দেখা যায়। আবাদি জমির উপরিভাগেই মূলত সার থাকে। সেই উপরিভগ বিক্রির কারণে পরবর্তীতে জমির কৃষি উৎপাদন সক্ষমতা হ্রাস পায়।
জানা যায়, ইটভাটার সাথে জমি মালিকের কোনো চুক্তি বা যোগাযোগ হয় না। জমির মালিকের সাথে চুক্তি করে ভূমিদস্যু জগেশ চন্দ্র বর্মন। জমির মালিকদের লোভ দেখিয়ে সে এসব মাটি ক্রয় করে৷ এলাকাবাসী বলেন, এদের কারণে চলাচলের রাস্তা ঠিক থাকেনা। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাহিন্দ্র চালানোয় রাস্তায় ধুলোর জন্য বের হওয়া যায় না।
দ্রুত মাহিন্দ্র চালানোয় যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা। তারা আরো বলেন, মাটি কাটার বিষয়ে এতো কঠোর আইন থাকা সত্বেও- তাদের বিরুদ্ধে কেনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না? এবিষয়ের জগেশের সাথে কথা বললে তিনি কোনো সদুওর দিতে পারেনি ।
উল্লেখ্য, এর আগেও নয়নকার এলাকার ভূমিদস্যু জগেশের বিরুদ্ধে মাটি খনন করা অবস্থায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে।
কিন্তু অলৌকিক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। আইনুযায়ী জানা যায়, ব্যক্তি রেকর্ডিও জমি হলেও, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ১৪৩ নং অনুচ্ছেদ এবং রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাতন্ত্র আইন ১৯৫০ এর ৮১ ধারা মোতাবেক ভূগর্ভস্থ সবকিছুর মালিক নিরঙ্কুশভাবে সরকার।
তাই অবৈধ উপায়ে যেকোনো নদী/খাল/ব্যক্তিগত জমি- স্থান হতে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উওোলন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করলে বা আশেপাশের কোনো স্থাপনার ক্ষতি করা হলে বালুমাহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী সর্বনিম্ন ৫০ হাজার টাকা হতে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা দুইবছর কারাদণ্ড বা উভয়দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে।