প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নকৃত দুই হাজার কিলোমিটার মহাসড়কের উদ্বোধন করেন। তিনি খুলনা ও টাঙ্গাইল প্রান্তে যুক্ত হয়ে উন্নয়নকৃত মহাসড়কের ফলে উপকারভোগী কয়েকজনের সাথে কথা বলেন ও তাদের অভিব্যক্তি মনোযোগ দিয়ে শোনেন।
এ সময় খুলনা জেলা স্টেডিয়াম প্রান্ত থেকে জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু, বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২০-২০৪১ এর আলোকে ২০২০-২৫ মেয়াদে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে, যার মাধ্যমে অনগ্রসর ও দুর্গম অঞ্চলের প্রান্তিক জনসাধারণকে অর্থনীতির মূলধারায় সংযুক্ত করার লক্ষ্যে সরকার দেশের মহাসড়ক নেটওয়ার্ককে গতিশীল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগেই বাংলাদেশের মহাসড়কগুলো স্মার্ট হাইওয়ে হিসেবে নির্মিত হবে। দেশে আজ একসাথে ২০২১.৫৬ কিলোমিটার উন্নয়নকৃত মহাসড়ক উদ্বোধন করা হয়েছে। মোট ১৪,৯১৪.৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়নকৃত মহাসড়কগুলোর মধ্যে খুলনা বিভাগে ৩৫২.২৬ কিলোমিটার, ঢাকা বিভাগে ৬৫৩.৬৬ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫৮.৯০ কিলোমিটার, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪২.৪৮ কিলোমিটার, সিলেট বিভাগে ১০৬.১৮ কিলোমিটার, বরিশাল বিভাগে ১০৭.২৬ কিলোমিটার, রাজশাহী বিভাগে ১৯৬.৮৭ কিলোমিটার এবং রংপুর বিভাগে ২০৩.৯৫ কিলোমিটার মহাসড়কে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪২.২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা জেলার ২৯ কিলোমিটার উন্নয়নকৃত সড়ক অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
খুলনায় অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনন্য মাইলফলক পদ্মাসেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ এখন সড়ক পথে প্রায় তিন ঘন্টায় রাজধানীতের পৌঁছাতে পারছে। দেশের সার্বিক উন্নয়নের পূর্বশর্তই হলো যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন।
এসময় সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, খুলনা জেলার উদ্বোধন হওয়া মহাসড়কটি ব্যবহার করে ভোমরা স্থল বন্দরের সাথে খুলনাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। এই বন্দর দিয়ে এখন আমদানি ও রপ্তানি সহজ হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা স্টেডিয়াম প্রান্তে জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।