তালার খেশরা ইউনিয়নের সোনা কুঁড়ি, খেশরা বিল, ডুমুরিয়া বিলসহ স্থানীয় কয়েকটা বিলে কাঠফাটা রোদে পানির অভাবে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ মারা যাচ্ছে মাছ চাষীদের।
দীর্ঘদিন ধরে পানি তোলা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় দুই পক্ষের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে এলজিডি বাঁধের আওতায় রেগুলেটরের ঠিকমতো উঠা নামা না হওয়ার ফলে খালে পলি জমা শুরু করেছে যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে কপোতাক্ষ নদের উপর।মঙ্গলবার (২৪ মে) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনা কুঁড়ি বিলের গোপাল দাশ, গোবিন্দ দাশসহ বেশ কয়েকজনের ঘেরে পানির অভাবে সাদা মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এসময় মাছের চিন্তায় মাছ চাষী গোপাল দাশকে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। গোপাল দাশ বলেন, প্রতিটি ঘেরে অনেক টাকার করে মাছ দেওয়া। খালে পানি না থাকায় মাছগুলো সব মরে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমাদের বাঁচাতে পানি না তুললে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাবো। পানির অভাবে বাগদাও মরে যেতে শুরু করেছে।ডুমুরিয়া গ্রামের নেছার গাজী বলেন, ১২ হাজার টাকা বিঘা প্রতি জমি হারি নিয়ে ধান করেছিলাম। কিন্তু ধানে পোকা লাগায় আমরা ভালো ধান পায়নি। এতে করে মাছ চাষ করতে না পারলে আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। গুটিকয়েক মানুষ নিজেদের স্বার্থের জন্য পানি তুলতে বাঁধা দিচ্ছে। প্রতিবছরই পানি উঠে কিন্তু ধানের কোন ক্ষতি হয় না। আর বিশেষ করে যারা বাঁধা দিচ্ছে তাদের জমিতে পানি তুললেও পানি যায় না। এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্থানীয় দুই পক্ষ অভিযোগ জমা দিয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।