সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার একটি বেসরকারী ক্লিনিকে ভূল চিকিৎসায় সম্পা বেগম (৩২) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। যদিও দায় এড়িয়ে এটি নিছক দূর্ঘটনা বলে দাবী ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের। রবিবার (২৫ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাটকেলঘাটায় সরকারী খাদ্যগুদাম সড়কের পাশে লোকনাথ নাসিংহোম এন্ড ডায়াগনস্টিক নামের ক্লিনিকে ঘটনাটি ঘটে। সম্পা বেগম তালা উপজেলার চৌগাছা গ্রামের শেখ বদরুল ইসলামে স্ত্রী।এদিকে ঘটনার পরপরই হত্যাকান্ডের বিচার দাবী করে বিক্ষুব্ধ হয়ে ক্লিনকের সামনে অবস্তান নেয় নিহতের স্বজনরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
নিহতের স্বামী শেখ বদরুল ইসলাম জানায়, স্ত্রী প্রসব বেদনা উঠলে রবিবার সকাল ১০টার দিকে সিজার করাতে লোকনাথ নাসিং হোমে ভর্তি করানো হয় । এরপর ক্লিনিক মালিক পুলক পালের সাথে ১১হাজার টাকায় চুক্তিতে ঝুকি মুক্তি ভাল ডাক্তার দিয়ে অপরাশনের কথাবার্তা হয় । পরবর্তীতে চিকিৎসকের অপরাশনের ফলে স্ত্রীর মৃত্যু হয় দাবী করেন তিনি। পরবর্তীতে এই হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ক্লিনিকের ব্যাবহারিত এম্বুলেস্ন যোগে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার রেফার্ট করান। এরপর খুলনার বেসরকারী হাসপাতাল গাজী মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কয়েক ঘন্টা আগে রুগী মৃত্যু হয়েছে বলে জানায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে লোকনাথ নাসিং হোমের মালিক পুলক কুমার পাল জানান, তালার সরকারী হাসাপাতালের চিকিৎসক তানজিমা তাবাচ্ছুম চায়না সিজার অপারেশন করান। পরবর্তীতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে প্রসূতিমায়ের মৃত্যু হয় বলে অপকটে স্বীকার করেন। তবে নবজাতকের সব দ্বায়িক্ত বুঝে নিয়ে ঝামলে এড়াতে চান ক্লিনিক মালিক পুলক পাল।
তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রাজিব সরদার জানান, ডাক্তার তানজিমা তাবাচ্ছিম চায়না তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত পাশাপাশি সার্জারির উপর মেডিকেলে কোর্সে অধ্যায়নরত। লোকনাথ নার্সিং হোমে অপরাশনে রোগী মৃত্যু কথা তিনি শুনেছেন বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তবে এঘটনায় কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগতব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।