ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রতিবেদন::
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রতি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, দেশ দুটি যদি যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো যোগ দেয় তাহলে রাশিয়াকে ওই অঞ্চলে প্রতিরক্ষা জোরদার করতে হবে। এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনও থাকবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
পুতিন মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ এখন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান। ২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন। আর ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
রাশিয়ার সঙ্গে ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার সীমান্ত থাকা ফিনল্যান্ড ও সুইডেন ন্যাটো জোটে যোগদানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। বুধবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোতে যোগ দিলে বাল্টিক অঞ্চলে রাশিয়াকে নিজেদের স্থল, নৌ ও আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে হবে।
মেদভেদেভ পারমাণবিক হুমকির কথাও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বাল্টিক নিয়ে তখন আর কোনও কথা হবে না।
বাল্টিক অঞ্চলে রাশিয়ার একটি ছিটমহল রয়েছে। কালিনিনগ্রাদ নামের এই ছিটমহলটি পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার মাঝখানে অবস্থিত।
মেদভেদেভ বলেন, বাল্টিক অঞ্চলকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত রাখার বিষয়ে আর কোনও আলোচনা হবে। অবশ্যই ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত রাশিয়া এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কিন্তু আমাদের যদি বাধ্য করা হয়… তাহলে মনে রাখবেন আমরা এটি চাইনি।
লিথুয়ানিয়া বলেছে, রাশিয়ার এমন হুমকি নতুন কিছু নয়। ইউক্রেন যুদ্ধের অনেক আগেই কালিনিনগ্রাদে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে মস্কো।
ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটো জোটে যোগদান ইউক্রেন যুদ্ধের ঘটনায় ইউরোপীয় বড় কৌশলগত পরিবর্তন হবে। সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সমন্বিত সামরিক পদক্ষেপ নিতে ১৯৪৯ সালে ন্যাটো জোট গঠিত হয়েছিল।
১৯১৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে ফিনল্যান্ড। এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে দেশটি দুটি যুদ্ধ করেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধ দুটিতে মস্কোর কাছে ভূখণ্ড হারিয়েছে ফিনল্যান্ড। বৃহস্পতিবার ফিনল্যান্ড দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি সামরিক মহড়া আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। এতে ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, লাটভিয়া ও এস্তোনিয়ার সেনাবাহিনী অংশগ্রহণ করবে।