সিনেমার মতো নয়, সিনেমার কাহিনিকেও হার মানাবে এই গল্প।
সঙ্গিনীর কথা মতো লিঙ্গ বদলে নারী থেকে পুরুষ হয়ে উঠেছিলেন এক তরুণী। সংসার শুরুর পর আচমকা মত বদলে অন্য প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লেন সেই সঙ্গিনী। ঘটনাটি আর ব্যক্তিগত স্তরে নেই, একেবারে আদালতে মামলা চলছে এটি ঘিরে।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। কাহিনির সূত্রপাত, যখন সানা নামের তরুণী পেয়িং গেস্ট হিসেবে সোনালের বাড়ির দোতলায় এসে ওঠেন। কিছুদিনের মধ্যেই সানা-সোনাল ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে ওঠেন। চার মাসের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। কিন্তু তাঁদের মেলামেশা পরিবারের কেউ পছন্দ করতেন না। সেই কারণেই সানাকে ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন সোনালের পরিবার।
পরিবারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার মধ্যে সেখানকার এক সরকারি কোয়ার্টারে চলে যান সানা। সানাকে ছেড়ে থাকতে না পেরে, সোনালও তাঁর কাছে চলে আসেন। এই পরেই সানাকে লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হয়ে উঠতে প্রস্তাব দেন সোনাল। সঙ্গিনীর কথা মতো হাসপাতালে পরীক্ষা করান তিনি। ২০২০ সালে দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে লিঙ্গ পরিবর্তন করান সানা। নাম পরিবর্তন করিয়ে নেন সোহেল খান।
এই ঘটনার পরেই একটি হাসপাতালে চাকরি পান সোনাল। এই চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই সংসারে সানার সঙ্গে মতবিরোধ ও অশান্তি শুরু হয়। সানার মতে, দিনের পর দিন বাড়িতে দেরি করতে ফিরতেন সোনাল। সারাক্ষণ ঝগড়া করতেন। একদিন আত্মীয়দের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়, বাড়ি চলে যাওয়ার কথাও বলেন।
সানা জানতে পারেন, সেই হাসপাতালের এক কর্মী জ্ঞান নামের এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সোনাল। তিনি স্পষ্টভাবে সানাকে এও জানান, জ্ঞানের সঙ্গে তিনি বাকি জীবন কাটাতে চান। এর মধ্যেই সানার ঘর ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে আসেন সোনাল। এরপর সানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নিগ্রহের অভিযোগ তুলে থানায় এফআইআর দায়ের করে সোনালের পরিবার। পাল্টা তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সানা। আদালতে বারবার হাজিরা দিতে বললেও সোনাল এড়িয়ে যান। এই ঘটনায় ১৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিনের মধ্যেই জামিনে মুক্তি হলেও, সেই মামলা এখনও চলছে।