1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
কোরিয়ান কোম্পানী কর্তৃক ফ্রী পানি খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পানি বিক্রির অভিযোগ ! এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া  - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| মঙ্গলবার| রাত ৪:৩৩|

কোরিয়ান কোম্পানী কর্তৃক ফ্রী পানি খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে পানি বিক্রির অভিযোগ ! এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া 

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : শনিবার, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩,
  • 175 Time View

সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটায় যুগিপুকুরিয়া গ্রামে অবস্থিত কোরিয়ান  কোম্পানী কর্তৃক প্রদেয় ফ্রিতে খাবার পানি দেওয়ার  প্রতিশ্রুতি দিয়ে পানি বিক্রি করার অভিযোগে উঠেছে।  অবশেষে এলাকাবাসীর তোপের মুখে উক্ত পানির প্লান্ট আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রমতে, স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে বিনামূল্যে সুপেয় পানি বিতরণের লক্ষ্যে জি,এ,টি,সি বিডি লিঃ দাতা সংস্থা কর্তৃক- ২০২২ ইং সালের মাঝামাঝি সময়ে তালা উপজেলার যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মধ্যপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন পানির প্লান্ট স্থাপন করা হয়। ওই সময় উক্ত পানির প্লান তদারকি করার জন্য পার্শ্ববর্তী আমিনুর  সরদারের ছেলে তারিক হাসানকে মাসিক ৯০০০ টাকা বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়। এমত অবস্থায় প্রায় এক বছর যাবত ফ্রিতেই পানি সরবরাহ করা হচ্ছিল।

কিন্তু কয়েক মাস আগে থেকে  নানান অসুবিধা দেখিয়ে বিভিন্ন  সময় পানি প্রাপ্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে । যেমন পানির প্লান্ট স্থলে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের জন্য প্লাস্টিকের চিতা পাইপ কেনার নামে  মাথা প্রতি  অর্থাৎ হাজারও লোকের কাছ থেকে ২০ থেকে ৫০ টাকা হারে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অথচ পানি নিষ্কাশনের জন্য সেই প্লাস্টিকের পাইপ এখনো পর্যন্ত কেন কেনা হয়নি। এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে ভুক্তভোগীদের মাঝে। শুধু কি তাই বর্তমানে প্রত্যেক কলস পানি ১০ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। যে বিষয়টি নিয়ে সুবিধাভোগী সাধারণ এলাকাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এক পর্যায়ে ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজ বাদ ভুক্তভোগী শত শত এলাকাবাসী উক্ত কোম্পানিয় ওয়াদা কৃত  ফ্রি পানি খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের প্রতিবাদ এবং সমাধানের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো সুফল মেলেনি। এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর পক্ষে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রায়হান হুসাইন একরামুল সাংবাদিকদের জানান, এই কোম্পানি এলাকা বাসীর সঙ্গে কথা দিয়ে কথা রাখেনি। এই পানির প্লান্ট স্থাপনের পরে জমানো পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি।  ভেসে যাওয়া  পানির কারণে রাস্তার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে,ক্ষতি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী বাড়ি ঘরের। সুপেয় পানি হিসেবে তার গুণগত মান নিয়েও তিনি প্রশ্ন করলেন। তিনি আরো বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখানে এসে এটার সমাধান না করবে ততদিন পর্যন্ত উক্ত পানির প্লান বন্ধ রাখবে অথবা ফ্রিতে পানি দিবে। এ বিষয়ে উক্ত পানির প্লান্ট এ দায়িত্বরত তারিক হাসান জানান, আমাদের কোম্পানির লোসকান এর মধ্যে আছে । খরচ খরচা উঠানোর জন্য উপরি মহলের নির্দেশে আমরা এই টাকা নিচ্ছি। এদিকে সংশ্লিষ্ট জিএটিসি বিডি লিঃ এর কর্মকর্তা নেলসন আভাস বিশ্বাস মুঠোফোনে জানান,জাতিসংঘের ইউ,এল,এস,সিসিসি দাতা সংস্থা  উক্ত কোম্পানির মাধ্যমে  বিনামূল্যে সুপেয় পানি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষদের মাঝে সরবরাইল লোককে পানির প্লান্ট প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু কোভিট ১৯ এর ফলে বৈশ্বিক মন্দার কারণে ২০২৪-২৫  সালের আমাদের অর্থ সহায়তা দিতে পারছে না। যেহেতু ওখানে মাসিক বেতন চুক্তিতে  দুইজন লোক নিয়োগ করা হয়েছে । তাদের বেতন এবং বিদ্যুৎ বিলের  জন্য মানুষের কাছ থেকে সামান্য কিছু টাকা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া  হয়েছে । তবে দাতা সংস্থার প্রকল্পটি চালু হলে২০২৬ সাল হতে আমরা আবার পূর্বের ন্যায় ফ্রীতে পানি দেয়ার ব্যবস্থা করব ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page