তথ্য অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, তালা উপজেলা জেয়ালা, জেয়ালা নলতা, আটারই, হাজরাকাটি, মহান্দি, জাতপুর, পাঁচরখী সহ বিভিন্ন গ্রামের গরুর খামার রয়েছে।এসব গরুর খামারে ব্যাপক হারে জরা ও ক্ষুরা রোগ দেখা দিয়েছে।এসকল এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানাযায়,গত কয়েকে দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার গরু মারা গেছে। এত গরু অসুস্থ হয়ে মারা গেলেও দু একটি মাটিতে পুতে রাখার খবর বলতে পারলেও অধিকাংশ মৃত ও অসুস্থ গরু কি করা হয়েছে তার খবর বলতে পারেনা না এলাকাবাসি।
মৃত প্রায় গরুর বিক্রিয়ের খবর পেয়ে তালার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের পাঁচরখী গ্রামে গেলে পশু চিকিৎসক ডাঃ শহিদুল ইসলামের বাড়ীতে গেলে দেখা যায় তার গরুর গোয়ালে মৃতপ্রায় অবস্থায় একটি গরু পড়ে আছে। গোয়লে পাশে তিনজন গরু ব্যবসায়ী গরুটি খুলনায় নিয়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন । এসময় সাংবাদিক দেখে মৃত প্রায় গরুটি ক্রয়ের কথা স্বীকার করে দ্রæত সেখান থেকে চলে যান।পরে এসে তারা ঐ অসুস্থ গরুটি নিয়ে যান বলে জানাগেছে।
এ বিষয়ে গরুর মালিক ডাঃ শহিদুল ইসলাম বলেন,তার গাভীটি অসুস্থ ছিল না । গত রাতে গাভীটি দঁড়িতে বেঁধে পড়ে গিয়েছিলো, আর উঠতে পারেনি। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে তার । গাভীটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় দেড় লক্ষ টাকা।কিন্ত দঁড়িতে বেঁধে পড়ে যাওয়র কারণে খুলনার ব্যবসায়ীর মাত্র ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গভীটি নিয়েগেছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গরু ব্যবসায়ী এ প্রতিনিধিকে জানান, এলাকার অধিকাংশ খামারে গরু অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ডাঃ শহিদুলের গাভীটি খুবই অসুস্থ ছিল। গাভীটি বিক্রয়ের জন্য গতকাল রাত ৩টার সময় তার কাছে ফোন করেছিলেন।কিন্তু অসুস্থ গাভীটি তিনি ক্রয় করতে রাজি হননি।গাভীটির বর্তমান বাজার মূল্য দেড় লক্ষ টাকার বেশী হবে। অসুস্থ জেনেও খুলনার অসাধু মাংশ ব্যবসায়ীরা শহরে মাংশ বিক্রি করার জন্য গাভীটি নিয়েগেছে বলে জানান তিনি।
তালা উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ সঞ্জয় সরকার বলেন, তালা উপজেলাতে গত একমাস ধরে গরুর জরা ও ক্ষুরা ভাইরাস রোগে মারা যাচ্ছে। তবে এখন এর পরিমান কমে এসেছে। এলাকায় অসুস্থ গরু ক্রয় বিক্রয়ের কথা তার জানা নেই। তবে কোনো ভাবে অসুস্থ গরু বিক্রয় করা যাবে না। যদি এমন কেউ করে তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।