তালার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৪ দফা হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে এলাকার চিহ্নিত প্রভাবশালী সন্ত্রাসীরা। এ সময় দুর্বৃত্বরা দরিদ্র ভ্যান চালকের গচ্ছিত ১ লক্ষ টাকা লুট সহ বাড়ীঘর ভাংচুর ও মহিলাদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে
ঘটনাটি ঘটেছে তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের শাহাজাত পুর গ্রামে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, শাহজাতপুর গ্রামের মৃত নূর গাজী ছেলে ফেরদাউস গাজী (৪০), তার স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০) চাচা মুনছুর গাজী(৬০) চাচী মমতাজ বেগম (৫০)। আহতদের মধ্যে ফেরদাউস গাজী ও মুনছুর গাজী তালা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তালা হাসপাতালে ভর্তি শাহজাতপুর গ্রামের মৃত নূর গাজী ছেলে ফেরদাউস গাজী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একই এলাকার সোনাই মোড়লের ছেলে ওজিয়ার মোড়ল সরকারী রাস্তার মাটি কেটে তার জমির গর্ত ভরাট করছিলেন, এ সময় চাচা মুনছুর গাজী রাস্তা কাটতে নিষেধ করায় তাকে বেদম মারপীট করে এ সময় তার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার রেশ ধরে দুপুরে আবারও ওজিয়ার মোড়লের ভাগনে মিজানুর ও একই এলাকার মিন্টু গোলদার তার চাচা মুনছুর গাজীকে রাস্তার উপরে ধরে গলা চেপে হত্যা করার চেষ্টো করে। এ সময় চাচার বাচাঁতে আমি সহ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এরপর বিকালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ওজিয়ার মোড়ল তার দুই ছেলে মাহফুজ ও মারুফ সহ ৬/৭ জন আকষ্কিক বাড়ীতে ঘরের মধ্যে ঢুকে বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালাতে থাকে এত বাঁধা দিতে গেলে আমাকে হাতুর দিয়ে পিটিতে রক্তাক্ত জখম করে ও মহিলাদের ¤øীলতাহানী ঘটায়। এরপর এলাকাবাসীর সহযোগীতায় মারাত্বক জখম অীবস্থায় হাসপাতালে আসার পথে তালা ব্রীজের কাছে সন্ত্রাসী কায়দায় আবারও পথ রোধ করে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। জীবন বাঁচাতে চরগ্রামের একটি বাড়ীতে আশ্রয় গ্রহন করি। পরে তাদের সহযোগীতায় তালা হাসপাতালে ভর্তি হই। বর্তমানে ভুক্তভোগী ভ্যানচালক ফেরদৌসের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানাযায়, আহত ফেরদৌসের মাথায় ৩টি সেলাই সহ সমস্ত মরীরে হাতুড়ী পেটার মারাত্বক জখম এবং মুনছর গাজীর হাতের আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে, এছাড়া সমস্ত শরীরে ফোলা জখম হয়েছে।
এ ঘটনায় তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।