তালা শহীদ আলী আহম্মেদ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক গাওসুল কবীর এর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্তক্ত সহ নানা অশালিন আচরণের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন অভিভাবকরা। এ ঘটনায় মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা,সমাজসেবা কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গতকাল ১৫ অক্টোবর তদন্ত করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, অত্র স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের িশক্ষক মোঃ গাওসুল কবীর প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে দীর্ঘদিন যাবত স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরন ও কুপ্রস্তাব সহ যৌনহয়রানী মুলক করে থাকেন। সম্প্রতি ৮ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় উক্ত শিক্ষক সকল শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি সহ পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেন। ।এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী ভয়ে ও আতংকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে । লোক লজ্জার ভয়ে শিক্ষার্থীরা কোথাও কিছু বলতে সাহস পায় না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক গাওসুল কবীর জানান, আমি ষড়যন্ত্রের শিকার, আমাকে প্রধান শিক্ষক অলোক তরফদার তার সঙ্গীরা মিলে ফাঁসাচ্ছে। এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান,আমরা সঠিক তদন্ত করছি, রায়ের কপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে প্রদান করবো।
তালা শহীদ আলী আহম্মেদ সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক অলোক কুমার তরফদার জানান, ইউএনও মহাদয়ের নিকট অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি, ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় আমি উর্দ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে লিখিত রিপোর্ট করেছি।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া শারমিন জানান, আমার কাছে স্কুলের অভিভাবকরা লিখিত আবেদন করেছেন। আমি সঠিক তদন্ত করার জন্য মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তার সমন্বয়ে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে দিয়েছি। তারা রিাপোর্ট দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।