1. admin@dainikmanobadhikarsangbad.com : admin :
২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড - দৈনিক মানবাধিকার সংবাদ
১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ| ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| রবিবার| সকাল ৮:৪৩|
শিরোনামঃ
সাতক্ষীরায় বড় ভাইয়ের অস্ত্রের আঘাতে প্রান গেল ছোটভাইয়ের তালায় প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের এলএসডিসহ এক মাদক ব্যবসায়ী  আটক নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যাহা কিছু করার প্রয়োজন তাই করা হবে: সাতক্ষীরায় নির্বাচন কমিশনার তালায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আলামিনের হারানো ভ্যান খুঁজে দিলেন এ এস আই আনিছুর রহমান শ্যামনগরে কথিত সীমানা পিলার বিক্রির সময় আটক-৫ তালায় জলবায়ু পরিবর্তন ও অভিযোজন প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত মানব পাচার প্রতিরোধে স্কুলের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ বোদায় হাইওয়ে পুলিশ সেবা সপ্তাহ পালন ২০২৪ পশ্চিম বাংলা সরকারের উদ্দোগে পর্যটকদের জন্য তৈরি হবে জামে মসজিদ।

২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
  • Update Time : রবিবার, আগস্ট ১৩, ২০২৩,
  • 106 Time View

তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নারী নুরজাহান খাতুন। স্বামী আবু বক্কর গাজী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের বসতঘরটি কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নেই। দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন, ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।
নুরজাহান খাতুন (৫৬) বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতভিটা ভেসে গেছে। এতদিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নুরজাহান। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগ তার শরীর বাসা বেধেছে। কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নুরজাহান বলেন, ‘নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই আমার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মতো একটি ঘরও নেই। পাশর্^বর্তী ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। বর্তমানে শরীরে কোন বল পাই নে। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটেনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয়নি। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।
খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০ বছরেও নুরজাহানের কপালে জোটেনি বিধবা ভাতার কার্ড
তালা প্রতিনিধি
তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নারী নুরজাহান খাতুন। স্বামী আবু বক্কর গাজী মারা গেছে প্রায় ২০ বছর আগে। তাদের বসতঘরটি কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। বর্তমানে মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নেই। দিন মজুরী করে এতদিন সংসার চালাতেন, ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এত দিনেও তাঁর কপালে জোটেনি একটি বিধবা ভাতার কার্ড।
নুরজাহান খাতুন (৫৬) বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে দিনমজুর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে তার স্বামী মারা যায়। মেয়ে পারভীনের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু স্বামী সংসারে বেশিদিন থাকতে পারেনি সে। দ্বিতীয় বিয়ে করে দু’টি শিশু সন্তানসহ তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয় স্বামী। দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজ করে পৃথক সংসার চালায়। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের তোড়ে নদী ভাঙনে বসতভিটা ভেসে গেছে। এতদিন মজুরী করে জীবিকা নির্বাহ করতেন নুরজাহান। কিন্তু হঠাৎ বিভিন্ন রোগ তার শরীর বাসা বেধেছে। কাজকর্ম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। হাঁটাচলা করাও তাঁর পক্ষে কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
নুরজাহান বলেন, ‘নিজের বলতে জীবনটা ছাড়া আর কিছুই যেন নেই আমার। একখন্ড জমি নেই, মাথা গোঁজার মতো একটি ঘরও নেই। পাশর্^বর্তী ডুমুরিয়া গ্রামে ছেলের ভাঙ্গা ঘরের বারান্দায় মাঝে মাঝে যেয়ে থাকি। বর্তমানে শরীরে কোন বল পাই নে। একটা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য ২০ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বরের কাছে গিয়েছি। কিন্তু এখনও কপালে ভাতার একটি কার্ড জোটেনি।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বিল্লাল হোসেন বলেন, তিনি নির্বাচিত হবার পর এখনও বিধবা ভাতার কার্ডের তালিকা হয়নি। নুরজাহান একজন অসহায় মহিলা। আগামীতে কার্ড আসলে তাকে অবশ্যই ব্যবস্থা করা হবে।
খেশরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ কামরুল ইসলাম লাল্টু বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। আগামীতে কার্ড আসলে নুরজাহান খাতুনকে বিধবা ভাতার কার্ডের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে তালা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার সুমনা শারমিন এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। © প্রকাশক কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত -২০২২

You cannot copy content of this page