গতকাল সোমবার (২১ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১২ এর এ্যাডজুটেন্ট ও অপ্স অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে সদর কোম্পানীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল বগুড়া জেলার সদর থানাধীন পৌরসভাস্থ ০৭ নং ওয়াডের রায় বাহাদুর রোড জলেশ্বেরী তলা ডেকান্স টাওয়ার এর ১০ম তলায় এবং বগুড়া জেলার সদর থানাধীন বগুড়া পৌরসভাস্থ ০৯ নং ওয়ার্ড রিয়াজ উদ্দিন কাজী লেন সুত্রাপুর রানী মহল নামের বিল্ডিং এর ৫ম তলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির সরঞ্জামাদিসহ ০২ জন নারীসহ ০৫ জনকে গ্রেফতার করেছে। এসময় তাহাদের নিকট থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত ০২ টি ল্যাপটপ, ০২ টি পেনড্রাইভ, ০২ টি আলোক সজ্জা লাইট, ০১ টি যৌন উত্তেজক ভাইব্রেশন যন্ত্র, ০১ টি সাউন্ড বক্স, ০১ টি বেল্টযুক্ত প্লাষ্টিকের কৃত্রিম পেনিস, ০১ টি চার্জার ব্যাটারী, ০২ টি এলইডি লাইট, ০৮ টি মোবাইল ফোন, ১৫ পিছ ইয়াবা এবং পর্নোগ্রাফি তৈরী সংক্রান্তে নিয়োগের শর্তবলী চুক্তিনামা কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন নওগাঁর রানীনগর উপজেলার কালিগ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান মন্ডলের ছেলে, মোঃ আতাউর রহমান রানা (৪০)। চট্টগ্রামেরফটিকছড়ি উপজেলার কোটা বাড়ীর মোঃ আতাউর রহমানে স্ত্রী রুম্পা আক্তার (২৪)। বগুড়া সদরের সাপগ্রাম মধ্যপাড়ার মোঃ ঘুটু প্রামানিকের ছেলে মোঃ স্বপন (৩৯)।বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার কয়া কুন্টির মোঃ আবুল কালাম আজাদের ছেলে মোঃ হানিফ প্রামানিক (২৫)। এবং সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা উপজেলার মোঃ সাহেব আলীর মেয়ে সাথী খাতুন
র্যাব জানায়, এই চক্রটি দীর্ঘদিন যাবত আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পরস্পর যোগসাজস করে তারা নিজেরা একে অপরে সাথে যৌনসঙ্গম করে বিভিন্ন প্রকারের পর্নোগ্রাফি ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে ইন্টারনেট ওয়েব সাইটে প্রকাশ করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এবং মাদক আইনে মামলা দায়ের করে উদ্ধারকৃত আলামতসহ তাদেরকে বগুড়া জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।