২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (জিএইচআই) বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি ঘটেছে। ২০২১ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ৭৬তম অবস্থানে থাকলেও চলতি বছর ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম স্থানে রয়েছে। তবে এই সূচকে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের ১০৭তম, পাকিস্তানের ৯৯তম এবং আফগানিস্তানের অবস্থান ১০৯ তম। বৃহস্পতিবার (১৩ই অক্টোবর) যৌথভাবে বিশ্ব ক্ষুধা সূচক-২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আয়ারল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড এবং জার্মানভিত্তিক ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ। ওই প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
২০২১ সালে ১১৭টি দেশের তালিকা প্রকাশ করে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড ও ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফ। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৬তম। অর্থাৎ ক্ষুধা মেটানোর সক্ষমতায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থানের আট ধাপ অবনতি হয়েছে।
তারও আগে ২০২০ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১০৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৭৫তম। ২০১৯ সালে ১১৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৮তম এবং ২০১৮ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৮৬তম।
প্রসঙ্গত, ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে যে ১৪টি দেশ ২৫% বা তারও বেশি ক্ষুধা হ্রাস করতে পেরেছিল, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।২০২২ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশের স্কোর ১৯.৬। এই স্কোর ১০ থেকে ১৯.৯–এর মধ্যে থাকলে কোনো দেশকে “মাঝারি মাত্রার” ক্ষুধা আক্রান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।তালিকায় থাকা প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং পাকিস্তান যথাক্রমে ১০৭ ও ৯৯তম স্থানে রয়েছে। এই দুই দেশের নাম রয়েছে “মারাত্মক ক্ষুধায়” (স্কোর ২০ থেকে ৩৪.৯) আক্রান্ত দেশের তালিকায়। তবে বাংলাদেশের ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা এবং মিয়ানমার। এই দুই দেশের অবস্থান যথাক্রমে ৬৪ ও ৭১তম।
উল্লেখ্য, এই সূচক তৈরিতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, শিশু স্বাস্থ্য এবং সম্পদ বণ্টনে বৈষম্যের মতো বিষয়গুলোকে মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। এতে অপুষ্টি, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতা, মৃত্যুহার, উচ্চতার তুলনায় ওজন প্রভৃতি বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হয়।